পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে নির্দেশনাসমূহ:

০১। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, থাইল্যান্ড এর কনস্যুলার শাখা থেকে সত্যায়িত যে কোন দলিলাদি, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ক্ষেত্রমতে ব্যাংককস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ঢাকাস্থ রয়েল থাই দূতাবাস পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য প্রত্যয়ন করবে।

০২। বাংলাদেশের নাগরিক কর্তৃক সম্পাদিত পাওয়ার যা বাংলাদেশে সম্পাদিত তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকার কনস্যুলার শাখায় সত্যায়ন (ক্ষেত্রমতে অন্য মন্ত্রণালয় বা কর্তৃপক্ষের সত্যায়নের পর করার পরই এই দূতাবাসের কনস্যুলার শাখা তা বিবেচনায় গ্রহণ করবে।

০৩। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক কর্তৃক সম্পাদিত কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দাতার/গ্রহীতার ওয়ার্ক পারমিটসহ বৈধ ভিসা (Business/ Non-O/Resident) উপস্থাপন সাপেক্ষে বিবেচনা করা যাবে।

০৪। যেকোন পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে মূল আইনে যদি এ ধরনের প্রভিশন তথা পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষমতায়নের মাধ্যমে কর্ম সম্পাদনের বিধান উল্লেখ থাকে কেবল সে ক্ষেত্রে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি/দলিলাদি/ডকুমেন্টস বিবেচনায় গ্রহণ করা যাবে।

০৫। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় যে সীমাবদ্ধতার প্রভিশন আছে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

০৬। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা, ২০১৫ এর তফসিল ক এর ফরম-৩ অনুসারে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রমাণিকরণপূর্রক যথাযথভাবে দূতাবাসে দাখিল করতে হবে। এক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ পাওয়ার অব অ্যাটর্নির আবেদন বিবেচনা করা হবে না।

০৭। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি অবশ্যই সরকারের নির্ধারিত তফসিল ক এর ফরম-৩ অনুসরণক্রমে, দুই প্রস্থে, মূল ও প্রতিলিপি আকারে, প্রস্তুুত করিতে হইবে।   বাংলা ফরম -০৩ এর জন্য এখানে ক্লিক করুন ইংরেজী ফরম -০৩ এর জন্য এখানে ক্লিক করুন

০৮। আবেদনকারীর স্বশরীরে দূতাবাসে উপস্থিত থাকা অত্যাবশ্যক।

০৯। পাওয়ার দাতার এক (০১) কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি (সাদা পটভূমি) এবং পওয়ার গ্রহীতার এক (০১) কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি (সাদা পটভূমি) ।

১০। নথি স্বাক্ষরবিহীন (পাওয়ার দাতা) থাকতে হবে এবং অবশ্যই দূতাবাসের কনস্যুলার কর্মকর্তার সামনে স্বাক্ষর করতে হবে।

১১। আবেদনকারীকে অবশ্যই বৈধ বাংলাদেশ পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।

১২। নথির একটি ফটোকপি রেকর্ডের জন্য দূতাবাসে প্রদান করতে হবে।

১৩। আবেদনকারী/নির্বাহক এবং যার কাছে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সম্পর্কের প্রমাণের ফটোকপি (পাসপোর্ট/জন্মসনদ/বিবাহসনদ/ইত্যাদি)।

১৪। পাওয়ার দাতা ও গ্রহীতার জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্ট কপি।

১৫। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি  গণপ্রজাতন্ত্রী  বাংলাদেশ সরকারের ‘ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা-২০১৫’ এ বর্ণিত নিয়মানুসারে প্রক্রিয়া করা হবে। ‘ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা-২০১৫’ এর কপি এখানে ক্লিক করুন 

১৬। বাংলাদেশ দূতাবাস আবেদন প্রক্রিয়ার যেকোনো পর্যায়ে যেকোনো অতিরিক্ত কাগজপত্রের জন্য অনুরোধ করার অধিকার রাখে। 

১৭। বাংলাদেশ দূতাবাস পরবর্তী পরীক্ষার জন্য যেকোনো আবেদন স্থগিত রাখার অধিকার রাখে।

১৮। বাংলাদেশ দূতাবাস প্রক্রিয়াকরণের যেকোনো পর্যায়ে যেকোনো আবেদন প্রত্যাখ্যান/বাতিল করার অধিকার রাখে। 

১৯। দূতাবাসে প্রদত্ত কনস্যুলার ফি ফেরতযোগ্য নয়।